কক্সবাজার সীমান্ত ঘিরে নতুন ষড়যন্ত্র | বাংলাদেশ | আরাকান আর্মি
কক্সবাজার সীমান্তে ভয়ংকর আরাকান আর্মি
কক্সবাজার সীমান্ত ঘিরে নতুন তৎপরতা শুরু করেছে আরাকান আর্মি । মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে হটিয়ে কক্সবাজারের বিপরীতে মিয়ানমার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা আরাকান আর্মি বাংলাদেশী জেলে এবং নৌজান নিয়মিত ভিত্তিতে অপহরণ করা শুরু করেছে।
এই নিয়ে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক, আরাকান আর্মি অপহরণ করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য চাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে বেশ কিছু গণমাধ্যমে। বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফের ছয়টি মাছ ধরার ট্রলার সহ অন্তত 56 জেলেকে ধরে নিয়ে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠী ।
অস্ত্রের মুখে আরাকান আর্মি তাদের ধরে নেয়ার কথা জানায় স্থানীয়রা, সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে 10 থেকে 15 কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর থেকে শাহপুরির দ্বীপ দক্ষিণপাড়া ও মিষ্টিপাড়ার এসব ট্রলার গুলোকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী। সানবিট সবদি সানবিট ম্যাজিক প্রেস ডিশওয়াশিং এর মাথা ঘোরানো সলিউশন বাংলাদেশ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের বিনিময়ে মুক্তিপন আদায় ছিল আরাকানা আর্মির উদ্দেশ্য।
এছাড়াও নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যের কমিশনও দাবি করেন তারা, তবে সম্প্রতি আরাকান আর্মির হাত থেকে ফেরত আসা জেলেরা দিচ্ছেন ভয়াবহ তথ্য বলছেন শুধু মুক্তিপনই নয় আরাকান আর্মির এবারের লক্ষ্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য ডেইলি স্টার সহ একাধিক গণমাধ্যম। মুক্তি পাওয়া এসব জেলেদের এর সাথে কথা বলেছে তারা জানান কক্সবাজার ও রাখাইন সীমান্তে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির অবস্থান ঘাঁটি ও টহলের মত স্পর্শকাতর তথ্য জানতে চাওয়া হয় আটকে রেখে করা হয় নির্যাতনও এমনকি বারবার জিম্মি জেলেদের আটক রাখার সময়টাতে একই ধরনের তথ্যই জানতে চায় আরাকান আর্মি ।
গেল কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশ সীমান্তে এক অনিশ্চয়তার নাম হয়ে উঠেছে আরাকান আর্মি, মিয়ানমারের জানতা বাহিনীর সাথে রক্তাক্ত এক লড়াইয়ের পর গেল বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের সাথে থাকা মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সীমান্তসহ রাখাইন রাজ্যের 90 শতাংশের বেশি অঞ্চল এখন সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির দখলে । নিজেদের প্রশাসনিক কাঠামোর মাধ্যমে রাজ্যটির শাসন ব্যবস্থা চালানোয় প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল আলাদা রাষ্ট্রের ঘোষণা দিতে পারে দলটি তবে এখনো সেরকম কোন সিদ্ধান্ত আসেনি ।
তবে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সীমান্ত ঘিরে ভয়াবহ তৎপরতা শুরু করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি টেকনাফ থেকে কয়েকদিন পর পরই ধরে নিয়ে যাচ্ছে জেলেদের জিম্মি করা হচ্ছে মাছ ধরার ট্রলার সহ বাণিজ্যিক জাহাজও আর আরাকান আর্মির এমন সব কার্যকলাপ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে দিন দিন আতঙ্ক বাড়ছে সাগরের মাছ ধরতে যেতেও ভয় পাচ্ছেন জেলেরা।
কোন মন্তব্য নেই